চীনে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা ফিরলে আলাদা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে’

করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য সংক্রমণ এড়াতে এখন থেকেই সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ওষুধ, ফেসমাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করার উপযুক্ত সময় এখনই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। 

এদিকে, চীনের উহান শহরে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরলে তাদেরও গভীর পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চীনের রহস্যময় ভাইরাস সবশেষ মধ্যপ্রাচ্যসহ ছড়িয়েছে ১৬টিরও বেশি দেশে। সঙ্গে বেড়ে চলেছে প্রাণহানির সংখ্যাও।

চীন সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে আরো ২ সপ্তাহ পর বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা হবে। তবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তাদেরকে আলাদা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা এরমধ্যেই ফিরে আসার ফর্মে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছেন। আমরা প্রস্তুত। তারা যখনই আসবেন, আমরা তাদের আলাদা পর্যবেক্ষণে রাখবো। কারণ, সারা দেশে রোগটা ছড়িয়ে পড়ুক, এটা আমরা চাই না।

এদিকে ভাইরাসের ধরণ, লক্ষণ ও প্রতিকারের সম্ভাব্য নানা পথ নিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন সভা সেমিনারে কথা বলছেন চিকিৎসকরা। নতুন এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এখন থেকেই চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেবার অনুরোধ জানান তারা।

বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান বলেন, ইনফেকশনের কন্ট্রোল আর প্রিভেনশন জরুরি।

তবে আতঙ্ক নয়, ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির দিকেই বেশী জোর দিচ্ছেন ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। কার্যকরী মাস্কের ব্যবহার ও বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করার পরামর্শ দেন প্রবীন এই চিকিৎসক।

ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, সাধারণ মানুষের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে হাত ধোয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। বড় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, যাতে বড় জায়গা ঢেকে রাখে। বিশেষ ধরনের এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে। একটা নয়, কয়েকটা। যাতে এ ধরনের রোগীদের দ্রুত স্থানান্তর করা যায়।

এখন পর্যন্ত কেউ শনাক্ত না হলেও স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী করবার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের।

 

 

 

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন